কাজাকিস্তান ভিসা আবেদন করুন বাংলাদেশ থেকে

কাজাকিস্তান ভিসা প্রক্রিয়া খুবই সহজ, তার জন্য আপনাকে আগে জেনে নিতে হবে বিস্তারিত। প্রথমে জেনে নিন কাজাকিস্তান দেশ সম্পর্কে। মধ্য এশিয়ার একটি বিশাল দেশ, কাজাকিস্তান সমৃদ্ধ ইতিহাস, মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং উদীয়মান অর্থনীতির জন্য পরিচিত। আপনি যদি এই মনোরম দেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন,  তাহলে একটি ভিসা আবেদন করা প্রয়োজন।

এই নিবন্ধে, আমরা কাজাকিস্তান ভিসার একটি বিস্তারিত এবং পেশাদার নির্দেশিকা প্রদান করব, যাতে আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা সহজ এবং ঝামেলামুক্ত হয়।

কাজাকিস্তানের ভিসা প্রসেসিং কোথায় করবেন?

কাজাখস্তান ভ্রমণের জন্য ভিসা প্রসেসিং প্রয়োজন। ঢাকায় অবস্থিত কাজাখস্তান দূতাবাস হল একমাত্র কর্তৃপক্ষ যেখানে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশে কাজাকিস্তানের ভিসা প্রসেসিং-এর জন্য বেশ কিছু সংস্থা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো সংস্থা হল “(Momin Consultancy Limited)”। যেহেতু বাংলাদেশ কাজাখস্তান ভিসা চুক্তি সই করা হয়েছে, তাই বাংলাদেশ থেকে কাজাখস্তান স্টুডেন্ট ভিসা ও ভ্রমণ ভিসা করা সহজ।

Momin Consultancy Limited এটি একটি জনপ্রিয় ভিসা এজেন্ট যা দ্রুত এবং কার্যকর ভিসা প্রসেসিং সেবা প্রদান করে। তারা কাজাকিস্তান ভিসা সহ বিভিন্ন ধরণের ভিসার জন্য সহায়তা প্রদান করে।

আমরা দীর্ঘ ০৫ বছর সুনামের সাথে এই সার্ভিস দিয়ে আসছে, এই পর্যন্ত ৫০০ (পাঁচ শত) গ্রাহককে Momin Consultancy Limited ভিসা পেতে সাহায্য করেছে।

কাজাকিস্তান ভিসা সম্পর্কিত আপনার কোনো কিছু জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন নিচে দেয়া নম্বরে: 01968130060, 01718668129 what’sapp 01621522120 what’sapp

এছাড়াও সরাসরি আমাদের অফিসে আসতে পারেন, আমাদের অফিসের ঠিকানা: Mymensingh Road Sabalia, Tangail / Satihati Bazar, Kalihati, Tangail

কাজাকিস্তান ভিসার প্রকারভেদ

আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুসারে, আপনাকে উপযুক্ত ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। কাজাকিস্তান বিভিন্ন ধরণের ভিসা অফার করে, যার মধ্যে রয়েছে:
  • ট্যুরিস্ট ভিসা: কাজাকিস্তান ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে সাধারণ ভিসা। এটি 30 দিনের জন্য বৈধ এবং একক বা বহুমুখী প্রবেশের জন্য উপলব্ধ।
  • ব্যবসায়িক ভিসা: ব্যবসায়িক কার্যকলাপ, যেমন মিটিং, সম্মেলন বা কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য।
  • ট্রানজিট ভিসা: যদি আপনি কাজাকিস্তানের মাধ্যমে অন্য দেশে যান।
  • কর্মী ভিসা: কাজাকিস্তানে কর্মরত হতে।
  • ছাত্র ভিসা: কাজাকিস্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার জন্য।

ভিসার জন্য আবেদন কি ভাবে করবেন?

আপনি কাজাকিস্তানের দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ব্যক্তিগতভাবে বা অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। অনলাইন আবেদন পদ্ধতি সাধারণত দ্রুত এবং আরও সুবিধাজনক, তবে অভিজ্ঞ এজেন্সীর মাধ্যমে করলে কাজটা আরও সহজ হয়।

কাজাকিস্তান জন্য প্রয়োজনীয় নথি কি কি লাগবে ?

ভিসার জন্য আবেদন করার সময়, আপনাকে নিম্নলিখিত নথিগুলি দূতাবাসে জমা দিতে হবে:

  • পূর্ণাঙ্গভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন ফর্ম: আপনি দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করতে পারেন, অথবা ট্রাভেল এজেন্সীর মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারেন।
  • বৈধ পাসপোর্ট: আপনার পাসপোর্ট কমপক্ষে ছয় মাস বৈধ থাকতে হবে।
  • পাসপোর্ট আকারের ছবি: দুটি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট আকারের ছবি প্রয়োজন।
  • ভ্রমণ বীমা: আপনার ভ্রমণের সময়কালের জন্য কভারেজ সহ ভ্রমণ বীমা।
    অর্থনৈতিক সামর্থ্যের প্রমাণ: আপনার কাছে পর্যাপ্ত অর্থ আছে তা প্রমাণ করার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা অন্যান্য আর্থিক প্রমাণ।
  • আবাসন প্রমাণ: আপনি কাজাকিস্তানে থাকাকালীন কোথায় থাকবেন তা প্রমাণ করার জন্য হোটেল বুকিং বা অন্য ব্যবস্থা।
  • রিটার্ন টিকিট: কাজাকিস্তান থেকে আপনার প্রস্থানের প্রমাণ।
  • আমন্ত্রণ পত্র (প্রয়োজনে): আপনার ভ্রমনের জন্য আমন্ত্রণ পত্র প্রয়োজন হতে পারে তার জন্য আমন্ত্রণ পত্র বা ইনভাইটেশন লেটার বাবস্থা রাখা ভাল।
কাজাকিস্তান যাওয়ার জন্য অবশ্যই আমন্ত্রণ পত্র বা ইনভাইটেশন লেটার প্রয়োজন কাজাকিস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমেও খুব সহজে কাজাকিস্তানে কাজের জন্য যাওয়া যায়।
ভিসার জন্য কি যোগ্যতা প্রয়োজন
  • বৈধ পাসপোর্ট (ভ্রমণের ৬ মাস পর্যন্ত বৈধ)।
  • পর্যাপ্ত আর্থিক মাধ্যম।
  • কাজাকিস্তানে থাকার ব্যবস্থা।
  • ভ্রমণ বীমা।
আবেদন
  • অনলাইনে বা দূতাবাস/কনস্যুলেটে।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন।
  • ফি প্রদান করুন।
  • ইন্টারভিউ (প্রয়োজনে)।

কাজাকিস্তান যেতে কত খরচ হয় ও সময় ?

  • ভিসার ধরণ ও আবেদন পদ্ধতি অনুযায়ী পরিবর্তিত।
  • প্রক্রিয়াকরণে কয়েকদিন থেকে কয়েক সপ্তাহ।
  • বিস্তারিত তথ্য:
  • কাজাকিস্তানের দূতাবাস/কনস্যুলেট ওয়েবসাইট।
     https://vmp.gov.kz/
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা লাগবে:
  • পাসপোর্ট (ন্যূনতম 6 মাসের বৈধতা)
  • ভিসা আবেদন ফর্ম
  • 2 ইঞ্চি ছবি
  • ভ্রমণ বীমা
  • হোটেল বুকিং বা আমন্ত্রণপত্র
  • আর্থিক প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
  • বিমান টিকিট

ভিসা প্রসেসিং সময়

  • নিয়মিত ভিসা: 10-15 কর্মদিবস
  • জরুরি ভিসা: 3-5 কর্মদিবস

কেন কাজাকিস্তান যাবেন ?

  • ইউরুপ যাওয়াা হসজ: এখান থেকে খুব সহজেই ভিজিট ভিসা করে ইউরুপ যাওয়া যায়- বিমান ফ্লাইটে।
  • বেতন বেশি : আশ-পাশে যত দেশ আছে তন্মধ্যে একমাত্র এই দেশেই বেতন হয় উচ্চ মানের।

কাজাকিস্তানের ভিসা বিস্তারিত তথ্যের জন্য কাজাখস্তান দূতাবাস, ঢাকা ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.embassypages.com/kazakhstan-consulategeneral-dhaka-bangladesh

ভিসা আবেদন ফর্ম: https://www-pub.iaea.org/mtcd/meetings/PDFplus/2009/cn172/cn172_VisaForm.pdf

আপনি যদি ভিসা প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা চান, তাহলে আপনি (Momin Consultancy Limited) সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

পূর্ববর্তী ভিসা গুলো দেখতে এবং ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন